শিমুল হাসান,, আদমদিঘী (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘিতে দুই বছর ধরে একটি রাস্তার নির্মাণকাজ শেষ না করেই ফেলে রাখা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও অবহেলার শিকার হয়ে হাজারো মানুষ প্রতিনিয়তই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা থাকলেও তারা দায়সারাভাবে দায়িত্ব পালন করছে। জানা গেছে, এলজিইডি বগুড়ার অধীনে আরডিআর আইডিপি প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার সড়কটি প্রশস্তকরণ ও উন্নয়নের জন্য সাড়ে ছয় কোটি টাকা বরাদ্দ ধরা হয়। ২০২২ সালের ২১ জুন সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কের ওপর ইটের খোয়া বিছিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছে। তার পর থেকে কাজ বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়রা জানান আদমদীঘি রহিম উদ্দীন ডিগ্রি কলেজের সামনে থেকে ছাতিয়ান গ্রাম পর্যন্ত একটি পাঁচ কিলোমিটারের সড়ক পাকাকরণের জন্য কোনো রকমে রোলার করে রাখা হয়েছে। রোলার করে রাখা ইটের ছোট—বড় খোয়া উঠে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এতে প্রতিনিয়ত বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, অটোভ্যান, ভটভটি ও ভারী যানবাহনের টায়ার নষ্ট হচ্ছে। সড়কে বিছানো ইটের খোয়ার ওপর ব্রেক করতে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। এই সড়কে বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি এবং শুষ্ক মৌসুমে (খরার সময়) ধুলোর কারণে যানবাহন ও পথচারীরা বিকল্প সড়কে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। বর্তমানে এই সড়ক বাদ দিয়ে নওগাঁ—বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক হয়ে আদমদীঘি সদরে চলাচল করছেন। এতে বাড়তি প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুরতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে দীর্ঘ দুই বছরেও সড়ক প্রশস্তকরণকাজ শেষ না করায় জনগণ দুর্ভোগে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম, পথচারী হাসিবুল ইসলাম শাকিল, রফিকুল ইসলাম মন্টু, অটোরিকশাচালক টোটন, রবিউলসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন- রাস্তা দিয়ে কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ চলাচল করেন। কিন্তু দুই বছর পার হলেও কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হয়নি। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে যায়। বয়স্ক লোকজন ও রোগীদের চলাচল করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রিপন কুমার সাহা জানান বৃষ্টি আর শ্রমিক সংকটে কাজ বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শ্রমিক পেলে অচিরেই কাজ শুরু করবে। তা ছাড়া বৃষ্টির জন্য কাজে বিলম্ব হচ্ছে।