স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার সোনাতলায় পথে পথে পথচারীদেরকে জিম্মি করে হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
গত বৃহস্পতিবার বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার সোনাতলা -হরিখালী, চরপাড়া-পাকুল্যা, সৈয়দ আহম্মদ কলেজ-হাটকরমজা, গণশারপাড়া-নারচী, কোড়াডাঙা-পোড়াপাইকর, কলেজ স্টেশন-ভেলুরপাড়া, বালুয়াহাট-কর্পূর, মূলবাড়ি-লোহাগাড়া, সোনাতলা-ভেলুরপাড়া, হলিদাবগা-চরপাড়া সড়কে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫/৬জন হাতির মাউত হাতির উপর সওয়ার হয়ে (উঠে) একের পর এক এলাকা অতিক্রম করার সময় পথচারীদেরকে হাতি দিয়ে বেরিকেড দিয়ে টাকা আদায় করতে দেখা গেছে। এতে করে পথচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। এ নিয়ে যে কোন সময় ওই সকল হাতির মাউতদের সাথে পথচারীদের বড় ধরনের বাক-বিতন্ডা থেকে মারপিটে রূপ নিতে পারে। তবে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও পথচারীদের সাথে মাউতদের বাক-বিতন্ডা লেগেই আছে।
এ বিষয়ে হাটকরমজা এলাকার মতিউর রহমান নামের একজন পথচারী বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর আনুমানিক ১২টার সময় তিনি সৈয়দ আহম্মেদ কলেজ স্টেশন অতিক্রম করার সময় একজন হাতির মাউত হাতি দিয়ে তার পথরোধ করে ২শ’ টাকা আদায় করে। আজাদুল ইসলাম নামের অপর এক পথচারী বলেন, তিনি বিকেল সাড়ে ৫ টার সময় সর্জনপাড়া বাঙ্গালী নদী অতিক্রম করার সময় একজন মাউত ব্রিজের উপর হাতি দিয়ে বেরিকেড দেয়। এসময় তার মোটর সাইকেলে স্ত্রী সহ অপর আরও ২ জন হাতি দেখে ভয়ে চিৎকার করে। এসময় ওই হাতিকে ৫শ’ টাকা দিয়ে তাকে যেতে হয়েছে। এ ধরনের রাস্তায় হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটছে অহরহ।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন হাতির মাউত বলে, তারা ৬জন গত দেড় মাস পূর্বে সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়ার সোনাতলায় এসে বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছে। হাতির খাবারের জন্য তারা রাস্তায় রাস্তায় পথচারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকে বলে জানায়। বাবু মিয়া নামের অপর আরেকজন মাউত বলে, প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন রাস্তায় পথচারীদের হাতি দিয়ে বেরিকেড দিয়ে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা তোলা সম্ভব হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় ভুক্তভোগীরা বলেন, এটা এক ধরনের চাঁদাবাজি। হাতি একটি অদ্ভুত ও বিশাল আকৃতির প্রাণি। যাকে দেখলে সবাই ভয় পায়। বিশেষ করে নারী ও শিশু পথচারীরা ভয়েই টাকা বের করে।
এ বিষয়ে সোনাতলা থানার ওসি বাবু কুমার সাহা বলেন, লোকমুখে এ ধরনের চাঁদাবাজির কথা শুনেছি। তবে কেউ সুনির্দিষ্ট ভাবে থানায় এসে অভিযোগ করেননি।