1. dainikboguramail@gmail.com : dainikboguramail :
  2. babu24news@gmail.com : mita2023 :
ঢাকায় সিএসও অ্যালায়েন্সের আয়োজনে “নাগরিক সমাজ: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত” শীর্ষক জাতীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত - দৈনিক বগুড়া মেইল : DainikBoguraMail
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ >>>
আদমদীঘি ও সান্তাহারে কোকো স্মৃতি সংসদের কমিটি ঘোষণা  গাবতলীতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত গাবতলীর নাড়ুয়ামালায় মোবাইলের জের ধরে ছোট ভাইকে জবাই করে হত্যা- হত্যাকারী আটক গাবতলীতে নাড়–য়ামালা ইউনিয়ন বিএনপির প্রস্তুতিমূলক সভা সুখান পুকুর ইউনিয়নে ইয়ংস্টার ক্লাবের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ ঢাকায় সিএসও অ্যালায়েন্সের আয়োজনে “নাগরিক সমাজ: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত” শীর্ষক জাতীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদল এর বর্ধিত সভা অনুষ্টিত গাবতলীতে বিএনপি’র প্রস্তুতিমুলক  সভায় মোর্শেদ মিলটন  বগুড়ার গাবতলীতে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু গাবতলীতে পল্টি খামারিদের সাথে ইনসেপ্টার সেমিনার

ঢাকায় সিএসও অ্যালায়েন্সের আয়োজনে “নাগরিক সমাজ: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত” শীর্ষক জাতীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

  • প্রকাশিত : শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪

প্রেস রিলিজঃ ঢাকা ১৯ অক্টোবর ২০২৪ আজ শনিবার ঢাকার গুলশানের লেকশোর হোটেলে সিএসও অ্যালায়েন্সের আয়োজনে সকাল ১১টায় “নাগরিক সমাজ: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত” শীর্ষক জাতীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অন্তবর্তীকালীন সরকারের পানি সম্পদ এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এনজিওগুলোর গৌরবময় অবদান থাকলেও, নতুন বাংলাদেশের পথে আমাদের কী করণীয়, সেটি বড় প্রশ্ন। ফরেন ডোনেশন আইন কার্যকর হওয়ায়, এনজিওগুলো সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছে না, কারণ এনজিও ব্যুরোর কাছে প্রতিশ্রুতি দিতে হয় যে তারা এসব করবে না। এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো সংগঠিতভাবে ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে, বিশেষত সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। তহবিল আটকে থাকার কারণে আমাদের কার্যক্রমও ব্যাহত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে, তবে সমালোচনার আগে আমাদের গভীরভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী সমাজ গঠন কঠিন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে, তাই ধৈর্য ধরে কাঠামোগত পরিবর্তনের দিকে এগোতে হবে।

অন্তবর্তীকালীন সরকারের সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস. মুরশিদ বলেন, এই আন্দোলনে ছেলে-মেয়েরা একসাথে লড়েছে। কোনো ছেলে কোনো মেয়েকে হেনস্থা করেনি, কোনো মেয়েও অপরিচিত কোনো ছেলের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতে ভয় পায়নি। বিশ্বের অনেক আন্দোলনের সামনের সারির যোদ্ধারা ছিল নারী। কিন্তু তারা পরে হারিয়ে যায়। ৭১-এ যারা যুদ্ধ করেছিল, তাদের সরকার স্বীকৃতি দেয়নি, পরিবারও তাদের গ্রহণ করেনি। সমাজ যখন সংকটে পড়ে, তখন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই নেমে আসে। কিন্তু যখন আমরা স্থিতিতে ফিরে আসি, তখন নারীদের খুঁজে পাওয়া যায় না, তাদের দৃশ্যমানতা হারিয়ে যায়। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, যখন আন্দোলন শেষ হয়ে যায়, নারীদের উপর নির্যাতন বেড়ে যায়। জাতীয় দর্শন—এমন একটি জায়গায় আমাদের দাঁড়াতে হবে, যেখানে কিছু মৌলিক বিষয় নিয়ে আমরা সবাই একমত হবো। সরকারের যেসব বিষয়ে প্রতিবাদ করা উচিত ছিল, তা না করায় তরুণরা মাঠে নেমেছিল। আমাদের সন্তানরা আমাদের প্রজন্মকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে, তোমরা মিথ্যাচার করেছ, বৈষম্য করছ। এই আন্দোলন আমাদের এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের গড়া সমাজকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমাদের দায়িত্ব নেওয়া দরকার। আমাদের প্রতিফলন করা দরকার, কী করা উচিত ছিল যা করা হয়নি।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে অ্যালায়েন্সের অন্যতম উদ্যোক্তা এবং ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, আজকের আয়োজন একটি বইকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতার পরে ৫০ বছরে সিভিল সোসাইটির অবদান লিপিবদ্ধ করার চেষ্টা। নাগরিক সমাজের সাংগঠনিক চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে কাজের চিন্তা থেকেই এই এলায়েন্স যাত্রা শুরু করে। সামাজিক সংকট, যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য ক্রাইসিসে সবার আগে নাগরিক সমাজ ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকারের জন্য এবং সিস্টেমকে দরিদ্রদের পক্ষে কাজ করাতে নাগরিক সমাজ নিরলস কাজ করছে। ভবিষ্যতে সিভিল সোসাইটির ভূমিকা কী হবে এবং কৌশলগত পরিকল্পনা কীভাবে গড়ে উঠবে, তা নিয়ে আমাদের আত্মবিশ্লেষণ প্রয়োজন।

সভায় সিএসও অ্যালায়েন্স কর্তৃক “বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর: আর্থ সামাজিক পরিবর্তনে নাগরিক সংগঠনের ভূমিকা” শীর্ষক গবেষণা গ্রন্থটি প্রকাশ করা হয়। এই গবেষণা কর্ম থেকে আলোচনার সূত্রপাত করে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড.খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, নাগরিক সমাজ স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৫২ ভাষা আন্দোলন, ১৯৭০-এর বন্যা, স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং পরবর্তী পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আশির দশকে মানবাধিকার এবং নব্বইয়ের দশকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারেও তারা সক্রিয় ছিল। দুইহাজার সালের পর কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে তাদের অবদান উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে, মাইক্রোফাইন্যান্স থেকে গ্রিন মাইক্রোফাইন্যান্স পর্যন্ত কাজগুলো আরও গতিশীল হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন অংশীদারদের সাথে কাজের নতুন চিন্তাভাবনার প্রয়োজন।

ড. ইফতেখারুজ্জামান দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, সরকার ধারাবাহিকভাবে বেসরকারি সংস্থাগুলোকে শত্রু হিসেবে দেখে, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে এবং গোয়েন্দা সংস্থার অপব্যবহার করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সম্ভাবনা তৈরি করেছে, তবে নতুন বাংলাদেশের কিছু মানুষ বৈষম্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে, যা উদ্বেগজনক। লিঙ্গ, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলাম, তারজন্য নাগরিক সমাজকে নীরব না থেকে কাজ করতে হবে।

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও ব্র্যাকের চেয়ারপার্সন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে, সিভিল সোসাইটির ভূমিকা ও রাষ্ট্র বহির্ভূত অংশীদারদের কাজ গুরুত্ববহ। ‘নন-স্টেট স্পেস’ আরও প্রসারিত করে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এনজিওর বাইরে ব্যক্তিগত উদ্যোগও গুরুত্বপূর্ণ। বৈষম্যহীন, ইনসাফভিত্তিক সমাজ গড়তে আদর্শিক চিন্তা জরুরি। উন্নয়ন কার্যক্রমের পাশাপাশি রাজনৈতিক চিন্তা ও ন্যারেটিভ তৈরি করতে হবে।গত ৫০ বছরে আমরা অনেক কর্মপরিধি তৈরি করেছি। সেগুলো অব্যাহত রাখতে হবে, কিন্তু পাশাপাশি আরও প্রাসঙ্গিক এবং অর্থবহ উন্নয়ন পরিকল্পনা করতে হবে।

ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যুগ্ম সদস্য সচিব, এবি পার্টি বলেন, আমাদের কাজের সীমাবদ্ধতা সচেতনভাবে বুঝে কাজ করতে হবে। ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠার আগে সাংস্কৃতিক ফ্যাসিজম শুরু হয়, কিন্তু মানবাধিকার নিয়ে আমরা সিলেক্টিভভাবে প্রতিবাদ করেছি। হেফাজত ও পিলখানার গণহত্যার সময় সিভিল সোসাইটি নীরব ছিল। ফ্যাসিজমকে এনজিওগুলো বারবার সমর্থন দিয়েছে। এখন আমাদের সিলেক্টিভ কাজ না করে দলমত নির্বিশেষে একসাথে কাজ করতে হবে।

জোনায়েদ সাকি, প্রধান সমন্বয়ক, গণসংহতি আন্দোলন বলেন, নাগরিক ও রাষ্ট্রের ভারসাম্য অনুপস্থিত, ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে সীমিত হয়েছে। এনজিও এবং নাগরিক সমাজেও ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ দেখা যায়। সিভিল সোসাইটির ভূমিকা নির্ভর করবে রাজনৈতিক উদ্যোগের উপর। আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিলো নাগরিক সাম্য, ন্যায়বিচার, এবং অন্তর্ভুক্তির। কিন্তু, সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলেই এখন ২০২৪ সালে ছাত্রদের আবার বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশের দাবি তুলতে হয়েছে।

ল্যান্ডমার্ক ফুটওয়্যার লিমিটেডের চেয়ারম্যান সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর উল্লেখ করেন যে , ‘নন-স্টেট স্পেস’ শুধুমাত্র এনজিও নয়, বরং সরকারের বাইরে থাকা সকলের অবদানকে অন্তর্ভুক্ত করে। নাগরিক সমাজ ও ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতির অভাব রয়েছে। যৌথভাবে কাজ করলে আরও সফলতা অর্জন সম্ভব হতো। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর মূল্যবোধ এবং যৌথ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, আমরা নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি, কিন্তু আমাদের পাশে কেউ ছিল না। আমরা অধিকারভিত্তিক উন্নয়নে কাজ করেছি, যেখানে উন্নয়নকে সেবা নয়, বরং অধিকার হিসেবে বিবেচনা করেছি। তিনি বলেন, মাইক্রোক্রেডিট যথেষ্ট নয়, মানুষকে তাদের অধিকার নিয়ে কথা বলার সাহস দিতে হবে। নারী, পুরুষ, জাতি বা ধর্ম নির্বিশেষে সবার ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই দেশ সত্যিকার অর্থে অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে।

তরুণ প্রতিনিধি নাজিফা জান্নাত বলেন, নাগরিক সমাজ নিয়ে চলমান আলোচনা থেকে একটি রূপরেখা তৈরির চেষ্টা চলছেে। প্রথমত, সোশ্যাল মিডিয়া সচেতনতার গুরুত্ব উল্লেখযোগ্য, কারণ এটি আন্দোলন ও সমাজে চিন্তার পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। তবে এটি অনেক ধরণের অস্থিরতাও সৃষ্টি করছে, তাই এর সচেতন ব্যবহার জরুরি। নাগরিক সমাজের ভেতরে জেনারেশন গ্যাপ কমিয়ে সংলাপ বাড়ানো দরকার, যাতে প্রজন্মগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে ওঠে। সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মতামত অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, শুধুমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠদের নয়। মানুষের মৌলিক চাহিদা যেমন দ্রব্যমূল্য হ্রাস, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নাগরিক সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হতে পারে। এছাড়াও, ঢাকা শহরে নাগরিকদের মত বিনিময়ের জন্য নাগরিক সংলাপ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব রাখা হচ্ছে, যেখানে সবাই একত্রে তাদের চিন্তা ও মতামত শেয়ার করতে পারবে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মজলিসে শুরা ও কর্ম পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার বলেন, রাষ্ট্রের মৌলিক অবকাঠামোগত সংস্কার ছাড়া উন্নয়ন অর্থহীন। সামাজিক অধিকার, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা চাইলেও এর মূল চালিকাশক্তি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস, ব্যাংক লুটপাটের মতো সমস্যাগুলো সমাধানে সংস্কার দরকার। বর্তমান সরকারের সংস্কার উদ্যোগ প্রশংসনীয়, তবে নির্বাচন কমিশন সংস্কার না হলে নির্বাচনে অনিয়ম আবার ঘটতে পারে। গণতন্ত্র ও উন্নয়নের জন্য সময় ও সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা সবাই বৈচিত্র্য চাই, ভিন্ন ভিন্ন মতকে পছন্দ করি। তবে, এটির সঠিক প্রক্রিয়া হলো ডেমোক্রেটিক প্রসেস। ডেমোক্রেসির বাইরে কিছুই সফল হয় না। অনেকে মনে করছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে বাদ দিয়ে নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে সব সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। হয়তো কিছু ন্যারেটিভ তৈরি করতে পারবেন, কিন্তু জনসমর্থন এবং মানুষের কাছে পৌঁছাতে হলে আপনাকে ডেমোক্রেসির মধ্য দিয়েই যেতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমাদের নৈতিক বিষয়ে সব অংশীজনের মধ্যে একটি ঐক্যমত থাকা উচিত। এখানে বিভাজনের সুযোগ নেই। আমাদের একটি জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংস্কার পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। আমাদের কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যেই জাতীয় ঐক্যমত তৈরি হয়েছে, তাই দেরি হওয়ার আগেই মৌলিক বিষয়ে পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। তা না হলে, যাদের এই উদ্যোগগুলোতে বাঁধা দেওয়ার ইচ্ছা আছে, তাদের সুযোগ বাড়বে। এবারই প্রথম, অন্যান্য অংশীজনদের সাথে সিভিল সোসাইটি গুলো বসে কথা বলছে। আমরা মনে করি, আমাদের প্রতিটি স্তরের উন্নয়ন এবং কাঠামোগত সংস্কারের জন্য সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। কেউ একা কিছু করতে পারে না, সবাই মিলে কাজ করতে হবে।

সিএসও এ্যালায়েন্সের আহ্ববায়ক ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক, রাশেদা কে. চৌধূরী বলেন এদেশ আমাদের সবার। রাজনৈতিক নেতৃত্বের পাশাপাশি নাগরিক সমাজের দায়বদ্ধতা অনস্বীকার্য। সেই দায়বদ্ধতা থেকে নাগরিক সমাজ স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্নভাবে অবদান রেখে আসছে। পূর্বে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল, কিন্তু এখন সময় সামনে এগিয়ে যাওয়ার। নতুন বাংলাদেশের লক্ষ্য নিয়ে আমরা সবাই যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব। আজকের এই মতবিনিময় একটি সূচনামাত্র। আমরা আশা করি, সবাই মিলে নতুন আঙ্গিকে আমাদের এই দেশকে পুনর্গঠনে অবদান রাখব।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. কেএএস মুরশিদ, অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণ ও প্রয়োজনীয় সম্পদ আহরণ- টাস্কফোর্স ও সাবেক মহাপরিচালক, বিআইডিএস, কবিতা বোস, কান্ট্রি ডিরেক্টর, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল, ফারাহ কবির, কান্ট্রি ডিরেক্টর, একশন এইড বাংলাদেশ, এ.কে.এম.ফাহিম মাশরুর, অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণ ও প্রয়োজনীয় সম্পদ আহরণ- টাস্কফোর্স ও সিইও, বিডি জবস, ড. এহসানুর রহমান, উপদেষ্টা, নাহাব, ডাঃ মালেকা বানু, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ , তাহসিনাহ্ আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক, বিওয়াইএলসি , শফিকুল ইসলাম, আঞ্চলিক পরিচালক, এশিয়া, এডিডি ইন্টারন্যাশনাল, হাসিন জাহান, কান্ট্রি ডিরেক্টর, ওয়াটার এইড বাংলাদেশ, কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ, কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ, দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন, আব্দুল হামিদ, কান্ট্রি ডিরেক্টর, এডুকো বাংলাদেশ , খাইরুল ইসলাম, আঞ্চলিক পরিচালক, দক্ষিণ এশিয়া, ওয়াটার এইড, মাহরুখ মহিউদ্দিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইউপিএল, অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ এবং কেএএম মোর্শেদ, সিএসও অ্যালায়েন্সের ফোকাল পয়েন্ট ও জ্যেষ্ঠ পরিচালক, ব্র্যাক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ।।  দৈনিক বগুড়া মেইল
Theme Customized BY Themes Seller.Com