সোনাতলা, বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার সোনাতলায় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের ছুড়িআঘাতে গুরুত্বর আহত হয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিসাৎধীন রয়েছে। আহত যুবক উপজেলার মহব্বতের পাড়ার গ্রামের বিল্লাল হোসেনের পুত্র মোঃ তুহিন বাদশা (৩০)। থানায় মামলা ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, গত ৮ই সেপ্টেম্বর বিকালে তেকানী চুকাইনগর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা অবদার বাধ চারমাথায় মোড়ে গোলজার আকন্দের চায়ের দোকানের সামনে চা খাওয়ার জন্য তুহিন বসে ছিলেন। চা খাওয়ার একপর্যাযয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিত ভাবে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মোঃ ইছার ফকিরের ছেলে মোঃ শিপন মিয়া সহ আরো কয়েক জন মিলে লাঠিসোঠা, রড ,ধারালো ছুরি সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তুহিন বাদশার উপর হামলা করে। সে সময়ে তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে তুহিন বাদশা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে সোনাতলা উপজেলা হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্খা হওয়ায় বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এর অবস্থার আরো অবনতি হলে শজিমেক কতৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাহার অবস্থার আরো অবনতি হওয়াই তাকে আইসিইউতে রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। ঢাকা মেডিকেলে আইসিইউতে ফাঁকা না থাকায় সেখান থেকে তাহাকে মহাখালী মেট্রোপলিটন মেডিকেল সেন্টারে আইসিইউতে ভর্তি করে পরিবার। ১২ই সেপ্টেম্বর হাসপাতাল কতৃপক্ষ তুহিন বাদশার অবস্থা আরো অবনতি দেখে রিপার্ট দিলে ১৩ই সেপ্টেম্বর অসহায় পরিবার তুহিন বাদশাকে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতাল এনে আইসিইউতে ভর্তি করে। তবে যেকোনো সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পরতে পারে বলে জানিয়েছেন পিতা বিল্লাল হোসেন ও তার পরিবার। সোনাতলা থানার দায়িত্বরত অফিসার এসআই খোরশেদ আলম জানান, থানায় গত ১৫ তারিখে মামলায় হয়েছে। মামলায় কোন আসামী গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।